তথ্যপ্রযুক্তির বিবর্তনের সাথে সাথে কম্পিউটারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আকার দিন দিন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে৷ দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ ক্ষুদ্রাকৃতির উচ্চগতিসম্পন্ন কম্পিউটার৷ ব্যস্ত নগরজীবনে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকে৷ আকারে ক্ষুদ্র এবং সহজে বহনযোগ্য হওয়ার কারণে ল্যাপটপের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল ব্র্যান্ড কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রস্তুত করছে৷ যখন কোন ক্রেতা যাচাই করেন যে কোন ক্যাটাগরির ল্যাপটপটি তার জন্য উপযুক্ত, তখনই বিচারের মাপকাঠি হয়ে দাড়ায় স্পেসিফিকেশন৷ ক্রেতা তখন প্রসেসর, র্যাম, গ্রাফিক্স, ডিসপ্লে এবং অন্যান্য ফিচারগুলো কেমন তা বিবেচনায় আনেন৷ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ল্যাপটপের জন্য আপনার বাজেট কত সেটাও এক্ষেত্রে বিবেচ্য৷ ক্রেতা যদি ল্যাপটপের স্পেসিফিকেশন সম্মন্ধে জ্ঞাত না হয়, তাহলে তিনি হয়তো অর্থ বাচাতে গিয়ে অপেক্ষাকৃত কম ফিচারসম্মৃদ্ধ ল্যাপটপটি কিনবেন নয়তো অযথা বেশি টাকা খরচ করবেন৷ তাই ল্যাপটপ ক্রয়ের ক্ষেত্রে একজন ক্রেতাকে অবশ্যই ল্যাপটপ সম্পর্কিত বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর সম্মক ধারণা রাখতে হবে৷ বর্তমান বাজারে সহজলভ্য ও উচ্চগতিসম্পন্ন ল্যাপটপগুলো থেকে নিজের প্রয়োজনীয় ল্যাপটপটি ক্রয় করতে হলে যে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে তার মধ্যে নিন্মোক্ত বিষয়াদি অন্যতম৷
সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট)
সিপিইউ-কে কম্পিউটারের হৃদয় বলা হয়৷ ইহা অপারেটিং সিস্টেমসহ সমস্ত এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম চালাতে মূখ্য ভুমিকা পালন করে৷ দ্রুতগতির সিপিইউ কম্পিউটারের সমস্ত কার্যক্রমকে দ্রুততর করে কিন্তু তাতে ব্যাটারি বেশিক্ষন সাপ্লাই দিতে পারেনা এবং দামেও অনেক বেশি হয়৷ বর্তমান সময়ের প্রায় সব ল্যাপটপই এএমডি অথবা ইন্টেল এর সিপিইউ ব্যবহার করে৷ যদি আপনি একটি নেটবুক কিনতে চান তাহলে আপনাকে নিশ্চিতভাবেই ইন্টেল-এর এটম প্রসেসর নিতে হবে৷ আপনি বর্তমানে ব্যবহৃত এটম প্রসেসরগুলোর মধ্যে বস্তুত উল্লেখযোগ্য তেমন কোন পার্থক্য বুঝতে পারবেন না, কিন্তু নতুন এন-৪৫০ এটম প্রসেসর-এর ব্যাটারী সাপোর্ট বেশি৷
আল্ট্রাপোর্টেবল পিসি, সাধারণত কম ভোল্টেজের ইন্টেল/এএমডি প্রসেসর ব্যবহৃত হয়৷ এদের চিপগুলো ডুয়াল-কোর সিপিইউসমৃদ্ধ, যা এখনকার ব্যবহৃত নেটবুক সিপিইউগুলোতে পাওয়া যায়৷ কিন্তু এদের ক্লক স্পিড খুব কম (২.১ গিগাহার্টজ এর পরিবর্তে ১.২ গিগাহার্টজ)৷ এই ধরনের প্রসেসর বাজারে প্রচুর কিন্তু আপনি যখন ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাবেন তখন কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করবেন- অধিক ক্যাশ মেমোরী অগ্রাধিকার পাবে এবং অধিক ক্লক স্পিড ভাল কিন্তু ইহা দ্রুত ব্যাটারী চার্জ শেষ করে৷ এএমডি এর সিপিইউ ইন্টেল এর তুলনায় কিছুটা ধীরগতির৷
অল-পারপাস এবং ডেস্কটপ-রিপ্লেসমেন্ট ল্যাপটপ বিভিন্ন রেঞ্জের স্পিডের ডুয়াল-কোর এবং কোয়াড-কোর সিপিইউ সরবরাহ করে৷ সব ধরনের ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টেলের কোর-আই-৩ এবং কোর-আই-৫ খুব ভাল সাপোর্ট দেয়৷ কিন্তু যাদের কোয়াড-কোর সিপিইউ প্রয়োজন (উদাহরণস্বরূপ ভিডিও, গেম খেলা অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এপ্লিকেশন চালানোর জন্য) তারা কোয়াড-কোর কোর-আই-৭ প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন৷ বেশি ক্যাশ মেমোরী ও উচ্চ ক্লক স্পিড ভাল সাপোর্ট দেয়৷ তারপরও ২ গিগাহার্টজ এর বেশি যেকোন সিপিইউ স্বাভাবিক কাজকর্ম যেমন গান শোনা, ওয়েবে গেম খেলা, অনলাইন ভিডিও দেখা, ইমেইল করার জন্য যথেষ্ঠ৷
আপনি বাজারে কোর-২-ডুয়ো (যা ইন্টেলের আগের মডেল) সিপিইউসমৃদ্ধ অনেক ল্যাপটপ পাবেন৷ এই মডেলের সিপিইউগুলোও ভালো সাপোর্ট দেয় তবে ক্যাশ মেমোরী ও ক্লক স্পিড যেন বেশি হয়৷ ইন্টেলের সেলেরন বা পেন্টিয়াম ও এএমডি স্যাম্প্রন প্রসেসর সম্বলিত অনেক ল্যাপটপ পাওয়া যায় যার দাম অনেক কম কিন্তু 'সস্তার তিন অবস্থা' প্রবাদের মত এদের কর্মদক্ষতাও অনেক কম৷
গ্রাফিক্স
জিপিইউ (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ ইহা সিলিকনের একটি ক্ষুদ্র অংশ, আমরা স্ক্রিনে যা দেখি (থ্রিডি গেম থেকে শুরু করে স্বাভাবিক ডেস্কটপ) সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে৷ অনেক জিপিইউ প্রসেসর এর গতি কম হলেও খুব সহজে দ্রুত ভিডিও ডিকোডিং করতে পারে৷
এখনকার ল্যাপটপগুলোতে দুই ধরনের জিপিইউ পাওয়া যায়- বিল্টইন গ্রাফিক্স (ইন্টেল/এএমডি)ও ডিসক্রিট জিপিইউ (এনভিডিয়া, এটিআই, এমডি'র গ্রাফিক্স)৷ বিল্টইন গ্রাফিক্স সাধারণত সিস্টেম চিপসেট ("ট্রাফিক কপ" যা সিস্টেমে ডাটা পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে)-এ বিল্ট থাকে৷ এই ধরনের জিপিইউ র্যাম থেকে মেমোরী শেয়ার করে৷ ডিসক্রিট জিপিইউ নিজস্ব মেমোরী সম্বলিত আলাদা চিপ যা শুধুই গ্রাফিক্স এর কাজে ব্যবহৃত হয়৷ ইহার কার্যক্ষমতা অনেক বেশি৷
ইন্টেলের বিল্টইন গ্রাফিক্স সাধারণত খুব একটা ভাল না৷ এতে থ্রিডি গেম, ভিডিও ডিকোডিং ভাল হয়না৷ কোর-আই-৫ এর সাথে বিল্টইন গ্রাফিক্স আগেরগুলোর তুলনায় অনেক ভাল তবে এনভিডিয়া বা এটিআই এর মত ততটা ভাল না৷ কম্পিউটারে গেম খেলতে হলে এক ডিসক্রিট নেওয়া ভাল৷
এটিআই-এর ৫০০০ সিরিজ আগের ৪০০০ সিরিজ এর তুলনায় এবং এনভিডিয়া'র ৩০০ সিরিজ আগের ২০০ সিরিজের তুলনায় উন্নত৷ এটিআই'র মোবিলিটি রেডন এইচ ডি ৫৮৫০ আগের মোবিলিটি রেডন এইচ ডি ৫৬৫০ এর তুলনায় এবং এনভিডিয়া-এর জিফোর্স ৩৩০এম আগের জিফোর্স ৩১০এম এর তুলনায় অনেক দ্রুততর৷
র্যাম
ডেস্কটপ কম্পিউটারের মত ল্যাপটপেও মেমোরী একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ র্যাম হচ্ছে র্যান্ডম একসেস মেমোরী যাহা কম্পিউটারের মেইন মেমোরী৷ র্যাম প্রসেসরের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ডাটা সরবরাহ করে৷ এজন্য র্যাম এর সাইজ যত বড় হবে প্রসেসর তত দ্রুত কাজ করতে পারবে এবং কম্পিউটার তত ফাস্ট হবে৷ যেহেতু ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ডেস্কটপের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির, তাই ল্যাপটপের র্যাম একটু বেশি নেওয়া ভাল৷ এজন্য ৪ গিগাবাইটের র্যাম নেওয়া শ্রেয়৷
এখন বাজারে সাধারনত দুই ধরনের র্যাম পাওয়া যায়: ডিডিআর-২ ও ডিডিআর-৩৷ এই দুই প্রকারের মধ্যে ডিডিআর-৩ তুলনামূলক দ্রুততর এবং বড় এপ্লিকেশন দ্রুত চালাতে পারে৷ এছাড়াও আপনি স্পেসিফিকেশন দেখার সময় ক্লক স্পিড দেখে নিবেন৷ বর্তমানে ৬৬৭, ৮০০, ১০৬৬ মেগাহার্টজ ক্লক স্পিড এর র্যাম পাওয়া যায়৷ তবে ক্লক স্পিড এর চেয়ে মেমোরী সাইজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ যদি ৪ গিগাবাইট ৮০০ মেগাহার্টজ এর ডিডিআর-২ এবং ২ গিগাবাইট ১০৬৬ মেগাহার্টজ ডিডিআর-৩ র্যাম পাওয়া যায়, তবে আপনি প্রথমটিকে বেছে নিবেন৷
ডিসপ্লে
ল্যাপটপের ডিসপ্লের আকার নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ল্যাপটপ ব্যবহার করেন৷ নেটবুকের তুলনামূলকভাবে ছোট সাইজের ডিসপ্লে থাকে৷ ডিসপ্লে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচ্য৷ এগুলো হল- রেজুলেশন, এলইডি ব্যাকলাইটিং, গ্লসি/এন্টিগ্লসি পর্দা৷ স্ক্রিন রেজুলেশন বলতে স্ক্রিনের উল্লম্ব ও অনুভুমিক দিকে মোট কতগুলো পিক্সলে আছে তা বুঝায়৷ যদি ১০ ইঞ্চি স্ক্রিনের নেটবুকের রেজুলেশন ১০২৪ বাই ৬০০ ও ১২৮০ বাই ৭৬৮ আকারের পাওয়া যায়, তবে পরেরটি অধিকতর পিক্সলে আছে এবং স্ক্রিনে ওয়েবপেজ বা প্রিডসিটের বেশি এলাকা দেখা যাবে৷ তবে অধিক রেজুলেশন হলে ডেক্সটপ আইকন ও লেখাগুলো অনেক ছোট হয়ে যাবে, ফলে দেখতে একটু অসুবিধা হবে৷ অধিকাংশ ব্যবহারকারী অধিক রেজুলেশন পছন্দ করে৷ এখনকার অধিকাংশ ল্যাপটপেই এলইডি-ব্যাকলিট ডিসপ্লে রয়েছে৷ এতে এলসিডি প্যানেল এর পিছনে কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ডিসপ্লের পরিবর্তে এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) থাকে৷ এলইডি-ব্যাকলিট ডিসপ্লে বিদু্যত্ সাশ্রয়ী, ফলে ব্যাটারী সাপ্লাই অনেকক্ষণ থাকে এবং এর উজ্জ্বলতা অনেক বেশি৷ কিছু কিছু ল্যাপটপের ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বলতর দেখায়, কারণ হচ্ছে এসব ডিসপ্লের উপর প্রলেপ দেয়া থাকে৷ এই উজ্জ্বল প্রলেপ ডিসপ্লের স্বচ্ছতা অনেক বাড়ায়৷ ফলে স্বচ্ছতা দেখে মনে হয় যে এর উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট অনেক বেশি৷
বর্তমানে কিছু নোটবুক, ট্যাবলেট ল্যাপটপ ও নেটবুকে টাচস্ক্রীণ ডিসপ্লে পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে এগুলো এখনও অনেক দামী৷
কানেক্টিভিটি/ সংযোগ
নেটবুক থেকে ডেস্কটপ রিপ্লেসমেন্ট প্রায় সব ল্যাপটপেই এখন তারবিহীন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কিং (৮০২.১১জি স্ট্যান্ডার্ড এর ওয়াই-ফাই) সুবিধা পাওয়া যায়৷ বর্তমানে প্রায় সব ল্যাপটপই ৮০২.১১ বি/জি স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট করে৷
৮০২.১১এন হচ্ছে সর্বাধুনিক স্ট্যান্ডার্ড যা বর্তমানে খুবই দ্রুততার সহিত যেকোন হোম ইউজার ও ওয়াই-ফাই একসেস পয়েন্ট এর সাথে সংযোগ প্রদান করে৷ তবে এখনকার সব ল্যাপটপে এই স্ট্যান্ডার্ড সুবিধা নেই৷ বর্তমান সময়ের সব ফিচার এবং ভবিষ্যতের নেটওয়ার্কিংয়ের সুবিধা নিতে এই ফিচার সম্বলিত ল্যাপটপ নেওয়াই উত্তম৷ আপনি যদি আপনার ল্যাপটপটি কোন ওয়ারড নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে চান তাহলে আপনার ল্যাপটপে অবশ্যই ইথারনেট কার্ড থাকতে হবে৷ বর্তমানে ব্যবহৃত ইথারনেট প্রযুক্তি হল গিগাবিট ইথারনেট৷ তবে আপনার ল্যাপটপটি যদি ধীরগতির ইথারনেট কার্ড (১০০ মেগাবিট পার সেকেন্ড) থাকে, তাতেও তেমন কোন সমস্যা নেই৷ বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ল্যাপটপই ব্লুটুথ সংযোগ সাপোর্ট করে৷ এর মাধ্যমে আপনি ব্লুটুথ মাউস, কিবোর্ড, হেডফোন এমনকি সংযোগ সম্বলিত মোবাইল ফোনের সাথে ল্যাপটপের সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন৷ আমরা যদি ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে চাই এবং আশেপাশে কোন ওয়াই-ফাই হটস্পট না থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা মোবাইল ব্রডব্যন্ড রেডিও ব্যবহার করতে পারি৷ আপনাকে একটি এ্যাড-ইন কার্ড কিনতে হবে৷ তবে এখনকার অনেক ল্যাপটপে মোবাইল ব্রডব্যান্ড রেডিও বিল্ট-ইন থাকে৷
অপটিকাল ড্রাইভ
প্রায় সব ল্যাপটপে একটি অপটিকাল ড্রাইভ থাকে৷ তবে নেটবুকগুলোতে ব্যতিক্রম দেখা যায়৷ সব অপটিকাল ড্রাইভেই এখন ডিভিডি চালানো ও বার্ন করা যায়৷ কিছু ল্যাপটপের অপটিকাল ড্রাইভ ব্লু-রে মিডিয়া চালানো যায় এবং সিডি ও ডিভিডি বার্ন করা যায়৷ যদি আপনি কোন সফটওয়্যার সিডি/ডিভিডি থেকে ইন্সটল করতে চান বা আপনি একটি মুভি দেখতে চান, তাহলে আপনি একটি ইউএসবি এক্সটারনাল অপটিকাল ড্রাইভ নিতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে আপনার খরচ কিছুটা কম হতে পারে৷
স্টোরেজ/ ডিক্স স্পেস
ডেক্সটপ কম্পিউটারের মত ল্যাপটপেও হার্ড-ড্রাইভ খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা কম্পিউটারে যা কিছু স্টোর করে রাখি তার সবকিছূই হার্ড-ড্রাইভে থাকে৷ নেটবুক ও আল্ট্রা-পোর্টেবল কম্পিউটারে সাধারণত ২৫০ গিগাবাইট স্টোরেজ স্পেস থাকে৷ তবে অল-পারপাস ও ডেস্কটপ রিপ্লেসমেন্ট ল্যাপটপগুলোতে ৫০০ গিগাবাইট বা তার চেয়ে বেশি স্টোরেজ স্পেস থাকে (ল্যাপটপের হার্ড-ড্রাইভ সর্বোচ্চ ১ টেরাবাইট পর্যন্ত হয়)৷ হার্ড-ড্রাইভের স্পেসিফিকেশনে অনেক সময় দেখবেন ৪২০০ আরপিএম, ৫৪০০ আরপিএম, ৭২০০ আরপিএম ইত্যাদি লেখা থাকে৷ এই সংখ্যাগুলোদ্বারা হার্ডড্রাইভের প্লেটগুলো কত দ্রুত ঘোরে তা বুঝায় (রোটেশন পার মিনিট)৷ দ্রুততর ড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফার রেট ও সিক টাইম বেশি যা দ্বারা দ্রুত ফাইল কপি করা, বড় এপ্লিকেশন চালানো এবং দ্রুত বুট করা যায়৷ আপনি যদি অধিক সংখ্যক ছবি, মিউজিক, ভিডিও রাখতে চান, তাহলে বড় সাইজের হার্ড-ড্রাইভ নিতে হবে৷ কিছু ডেস্কটপ রিপ্লেসমেন্ট ল্যাপটপ ডুয়াল-হার্ড-ড্রাইভ সাপোর্ট করে৷
বর্তমান যুগে মানুষের ডেস্কটপের চেয়ে ল্যাপটপের দিকে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে৷ তাই উপরোল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সাধ্যের মধ্যে উন্নততর প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ল্যাপটপটি কিনে নিজেকে তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন৷
সংগ্রহঃ ইবিজ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন